ইথিয়োপিয়ায় বিমান ভেঙে পড়ার পর বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স নিয়ে জেট-স্পাইসের কাছে তথ্য চাইল ডিজিসিএ


বিশোফটু শহরের কাছে ভেঙে পড়া বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানের ধ্বংসাবশেষ। 

ইন্দোনেশিয়ার পর ইথিয়োপিয়া। প্রায় একই রকম ভাবে কয়েক মাসের ব্যবধানে ভেঙে পড়ল দু'টি বিমান। আশ্চর্যজনক ভাবে দু'টি বিমানের প্রস্তুতকারক সংস্থা একই। এ বার  মার্কিন সেই সংস্থা 'বোয়িং'-এর কাছে তার '৭৩৭ ম্যাক্স' মডেল নিয়ে খুঁটিনাটি তথ্য তলব করে পাঠাল ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)। শুধু বোয়িং-এর কাছেই নয়, জেট এয়ারওয়েজ এবং স্পাইস জেটের কাছেও একই তথ্য চেয়ে পাঠানো হল। কারণ, এ দেশে ওই দুই বিমান পরিবহণ সংস্থাই বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স চালায়। যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থেই ওই সব তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে বলে ডিজিসিএ-র তরফে জানানো হয়েছে।

রবিবার আদ্দিস আবাবা থেকে নাইরোবি যাওয়ার পথে ভেঙে পড়ে ইথিয়োপিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রিবাহী বিমান। ওই বিমানে ১৫৭ জন আরোহী ছিলেন। তাঁর মধ্যে ৪ জন ভারতীয়। আরোহীদের কেউই সম্ভবত বেঁচে নেই বলে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে ওই বিমান সংস্থা। গত অক্টোবরে ঠিক একই রকম ভাবে ভেঙে পড়েছিল আর একটি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স। ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ারের ওই বিমানটি জাকার্তা থেকে ওড়ার ১৩ মিনিটের মাথায় ভেঙে পড়ে। ওই দুর্ঘটনায় ১৮৯ জন যাত্রী-সহ বিমানকর্মীদের সকলেই মারা গিয়েছিলেন। রবিবারের দুর্ঘটনার পর তাই বোয়িং-এর ওই বিমান নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে ডিজিসিএ। তার পরেই তথ্য তলব করা হয়।

ভারতের পাশাপাশি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স চালায় চিনের একটি উড়ান সংস্থাও। ডিজিসিএ-র মতো যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে দ্য সিভিল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব চায়না (সিএএসি)-ও ওই সংস্থাকে 'বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স' উড়ান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। বোয়িং সংস্থা এবং আমেরিকার ফেডারাল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাছ থেকে ম্যাক্স ৭৩৭ মডেল সম্বন্ধে তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। তাদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার পরেই পরবর্তী নোটিস জারি করা হবে বলেও জানিয়েছে সিএএসি। তত দিন ওই উড়ান বাতিল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।