মাসুদ আজহারের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত ফ্রান্সের


শুক্রবার ফরাসি সরকারের একটি যৌথ বিবৃতি এই বিষয়টি জানা গিয়েছে।


চিনের ভরসা কোনওরকমে আন্তর্জাতিক জঙ্গির তকমা এড়িয়েছেন মাসুদ আজহার। কিন্তু তাতেও যে তার নিস্তার নেই, তা স্পষ্ট হল শুক্রবার। এবার জইশ-ই-মহম্মদের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিল ফ্রান্স।

তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট ওই জঙ্গি সংগঠনের প্রধান মাসুদের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করবে। শুক্রবার ফরাসি সরকারের একটি যৌথ বিবৃতি এই বিষয়টি জানা গিয়েছে। ওই যৌথ বিবৃতিটি দেওয়া হয়েছে ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক, অর্থমন্ত্রক ও বিদেশ মন্ত্রকের তরফে।

তবে এখানেই থেমে থাকতে নারাজ ফ্রান্স। বরং মাসুদের বিরুদ্ধে আরও বড় পদক্ষেপ করতে চায় এমানুয়েল মাঁকড়ের সরকার। তারা চায়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের জঙ্গিদের তালিকায় নাম উঠুক মাসুদের। এ নিয়ে তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নে আলোচনাও করবে।

এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান যাত্রীদের পণবন্দি করে ১৯৯৯ সালে মাসুদ আজহারকে ছাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিল তালিবানরা। তার পর থেকে জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার পাকিস্তানেই রয়েছে।

পাকিস্তানের মদতেই চলছে তার জঙ্গি কার্যকলাপ। ভারত একাধিকবার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বললেও গুরুত্বই দেয়নি পাকিস্তান। আর বারবার তার ফল ভুগতে হয়েছে ভারতকে। গত কয়েকবছরে একাধিকবার জঙ্গিহানা ঘটিয়েছে জইশ।

যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ পুলওয়ামা। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা হয়। শহিদ হন ৪০ জওয়ান। তারই পালটা পাকিস্তানের বালাকোটে জইশের জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা চালায় পাকিস্তান।

ওই হামলায় দায় স্বীকার করে নেয় জইশ। ২৬ অক্টোবর পাল্টা আঘাত করে ভারত। বায়ুসেনার তরফে রাতের অন্ধকারে এয়ার স্ট্রাইক করা হয়। ধ্বংস হয়ে যায় জইশের সবচেয়ে বড় জঙ্গিঘাঁটি।

এই ঘটনার পর থেকে পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়তে থাকে। মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণার দাবি উঠতে থাকে। বুধবার এ নিয়ে বৈঠক হয় রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে।

সেখানে চিনের বাধায় মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে চিন।