‌থামছেই না পাকিস্তান!‌ ফের সংঘর্ষে শহিদ চার, মৃত এক নাগরিক, খতম জঙ্গিও


উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের ভারতে ফেরা নিয়ে টানটান উত্তেজনার মধ্যেই ফের সেনা–জঙ্গি সংঘর্ষে উত্তপ্ত জম্মু–কাশ্মীর। সংঘর্ষে শহিদ হয়েছেন নিরাপত্তাবাহিনীর সিআরপিএফ–এর ইন্সপেক্টর সহ মোট চারজন। নিকেশ হয়েছে এক জঙ্গি। জখম হয়েছেন আটজন জওয়ান। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে কুপওয়ারা জেলার হান্দোয়ারায়। সংঘর্ষের পর বিক্ষোভের সময় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক তরুণের।

হান্দোয়ারার লাঙ্গেট এলাকার বাবাগুন্ড গ্রামের একটি বাড়িতে কয়েকজন জঙ্গির আত্মগোপন করে থাকার খবর বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সূত্রে পেয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনী। এরপর শুক্রবার ভোরে সেনার ২২ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস্‌, সিআরপিএফ–এর ৯২ ব্যাটেলিয়ন এবং রাজ্যপুলিসের এসওজি হান্দোয়ারা অভিযান চালায়।

বাহিনীকে এগতে দেখে জঙ্গিরা গুলি চালালে বাহিনী পাল্টা জবাব দেয়। শুরু হয় সংঘর্ষ। সূত্রের খবর, জঙ্গিরা খতম হয়েছে মনে করে বাহিনী এগিয়ে যেতেই মৃতের ভান করে পড়ে থাকা এক জঙ্গি আচমকা উঠে গুলি চালাতে শুরু করে। হঠাৎ গুলিবর্ষণে হকচকিয়ে যায় বাহিনী। মৃত্যু হয় সিআরপিএফ–এর ইন্সপেক্টর এবং এক কনস্টেবল, এসওজি–র দুই কর্মীর। সিআরপিএফ–এর কর্মী পিন্টু এবং এসওজি–র কর্মী নাসির আহমেদের শনাক্তকরণ হয়েছে। দুই জঙ্গিকেও নিকেশ করেছে বাহিনী।

সংঘর্ষ শেষে গ্রামবাসীরা বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করে গুলি চালায় বাহিনী। জখম হন বেশ কয়েকজন। মাথা এবং তলপেটে বুলেটের ক্ষত নিয়ে হান্দোয়ারার সরকারি হাসপাতালে ২১ বছরের ওয়াসিম আহমেদ মিরকে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

ওয়াসিম লাঙ্গেটের সাগিপোরার বাসিন্দা মহম্মদ আকবর মিরের ছেলে। সংঘর্ষ এখনও চলছে বলে জানিয়েছেন হান্দোয়ারার এসএসপি আশিস মিশ্র। হান্দোয়ারার অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে, কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।

অন্যদিকে শুক্রবারই নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর মেন্ধর, বালাকোট এবং কৃষ্ণঘাঁটি সেক্টরে বিনা প্ররোচনায় ফের সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে গোলাগুলি ছুড়েছে পাকিস্তান সেনা। ভারতীয় সেনাও পাল্টা জবাব দেয়।