জলে ছুঁড়ে ও আগুনে পুড়িয়ে জঙ্গিদের দেহ লোপাট করে পাকিস্তান


ইসলামাবাদ: বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি শিবিরে ভারতের এয়ারস্ট্রাইকের পর প্রমাণ লোপাটের সব চেষ্টাই চালিয়ে যায় পাকিস্তান৷ তবুও শেষরক্ষা হল না৷ বায়ুসেনার এয়ারস্ট্রাইকে জঙ্গিদের যে মৃত্যু হয়েছে তার প্রমাণ পেয়েছে ভারতের দুটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম৷ ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ভারতের এয়ারস্ট্রাইকের পর কীভাবে পাকিস্তান গোটা এলাকাটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং জঙ্গিদের দেহ লোপাট করে৷
 
রিপাবলিক টিভি ও টাইমস নাও এই সংক্রান্ত একটি খবর তাদের চ্যানেলে সম্প্রচার করে৷ রিপাবলিক টিভির কাছে এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান আসে৷ তিন মিনিটের ওই ফুটেজে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানাচ্ছে, আশেপাশের বাসিন্দাদের কাছ থেকে জোর করে মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়৷ যাতে কোনও ফুটেজ লিক না হয়৷ ২৬ ফেব্রুয়ারির পর থেকে এলাকায় কোনও নেট সংযোগ নেই৷ তিনি বলছেন, গোটা এলাকাটি পাক প্রশাসন ঘিরে ফেলে৷ মাছি গলতে না পারে এমন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়৷ কিছু জঙ্গির দেহ পাশ দিয়ে বয়ে চলা নদীর জলে ছুঁড়ে ফেলা হয়৷ আর কিছু দেহ আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়৷ এই ভাবে জঙ্গিদের দেহ লোপাট করে পাকিস্তান৷

অপরদিকে টাইমস নাও তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, প্রত্যাঘাতের আগে ওই জঙ্গি শিবিরে ২৬৩ জন জঙ্গি ছিল৷ এছাড়া আরও ১৮ জন জইশ কমান্ডার ছিল৷ তাদের কাজ ছিল জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া৷ পদ অনুযায়ী জঙ্গিদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছিল৷ যেমন ৮৩ জন জঙ্গি প্রাথমিক ট্রেনিং কোর্সের জন্য ভরতি হয়েছিল৷ ৯১ জনের অ্যাডভান্স ট্রেনিং চলছিল৷ এদের মধ্যে থেকে ২৫ জন জঙ্গিকে ফিঁদায়ে হামলার জন্য নির্বাচন করা হয়েছিল৷ ভারতের বায়ুসেনা বালাকোটের জঙ্গি শিবিরে স্পাইস বোমা ফেলে৷ তাতে জইশের আইইডি ও ভিডিও বিশেষজ্ঞ সহ অনেক জঙ্গির মৃত্যু হয়৷ যারা আহত হয় তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷

পাকিস্তান অবশ্য শুরু থেকে এই সব দাবি উড়িয়ে আসছিল৷ তবে ২৬ ফেব্রুয়ারি বালাকোটে কী ঘটেছিল জানতে রয়টার্সের সাংবাদিকরা সেখানে যেতে চায়৷ কিন্তু তাদের বাধা দেয় পাক প্রশাসন৷ বালাকোটে যাওয়ার উপযুক্ত সময় এটা নয় বলে নানা তত্ত্ব খাড়া করার চেষ্টা করলেও পাকিস্তানের ভয় সাংবাদিকরা সেখানে গেলে ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়ে পড়বে৷