এক বছরে বেকারত্ব বেড়ে ৭.২%, বলছে সমীক্ষা

বাড়ছে বেকারত্ব। 

লোকসভা ভোটের মুখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের জন্য একটি দুঃসংবাদ! পুলওয়ামা কাণ্ডের জেরে গোটা দেশের নজর যখন অন্য দিকে, তখন একটি সমীক্ষা জানাল, গত এক বছরে দেশে বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছে ৭.২ শতাংশ। গত বছর ঠিক এই সময়ে বেকারত্বের হার ছিল ৫.৯ শতাংশ। 

যেটা আরও উদ্বেগের, এই বৃদ্ধিটা খুব দ্রুত গতিতে হয়েছে। সময়ের নিরিখে। গত বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে বেকারত্বের হার বেড়েছে ৫.৯ শতাংশ। মঙ্গলবার এই পরিসংখ্যান দিয়েছে 'সেন্টার ফর মনিটারিং ইন্ডিয়ান ইকনমি (সিএমআইই)'। দেশের বহু অর্থনীতিবিদই সিএমআইই-র সমীক্ষাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন। সমীক্ষা এও জানিয়েছে, গত তিন বছরের শুধু ফেব্রুয়ারির হিসেব ধরলেই দেখা যাবে বেকারত্বের বৃদ্ধির হারটা কেমন। ২০১৭-র ফেব্রুয়ারিতে হারটা ছিল ৫ শতাংশ। তা ২০১৮-র ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে হয় ৫.৯ শতাংশ। আর গত ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়ে হয়েছে ৭.২ শতাংশ। যা তার আগের মাস, জানুয়ারিতে ছিল ৭.১ শতাংশ।

আরও একটি চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে গত সাড়ে ৪ বছরে। দেশে চাকরিজীবীর সংখ্যা কমেছে। মুম্বইয়ের একটি বিশেষজ্ঞ সংস্থার প্রধান মহেশ ব্যাস জানিয়েছেন, আগেই অনুমান করা হয়েছিল, এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশে কর্মরত ব্যক্তির সংখ্যা কমবে। তা হবে ৪০ কোটি। ২০১৮-র ফেব্রুয়ারিতে সেই সংখ্যাটা ছিল ৪০ কোটি ৬০ লক্ষ।

ওই সমীক্ষা জানিয়েছে, নোটবন্দির জেরে ২০১৮-য় ভারতে ১ কোটি ১০ লক্ষ মানুষ চাকরি খুইয়েছেন। পণ্য পরিষেবা কর (জিএসটি) চালুর জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন লক্ষ লক্ষ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

সিএমআইই-র আগের সমীক্ষা ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, ২০১৬-র সেপ্টেম্বরে ভারতে বেকারত্বের হার ছিল ৮.৪৩ শতাংশ। তার পর তা একটুু একটু করে কমে ২০১৭-র জুলাইয়ে হয়েছিল ৩.৩৭ শতাংশ। যা ফের বেড়ে গত ফেব্রুয়ারিতে হয়ে গেল ৭.২ শতাংশ।

চাষিরা কৃষি পণ্যের দাম পাচ্ছেন না প্রত্যাশিত ভাবে আর অস্বাভাবিক দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে বেকারত্বের হার, এই দু'টিই ভোট প্রচারে হাতিয়ার হতে পারে বিরোধীদের, বলছেন অর্থনীতিবিদদেরই একাংশ।

দিনকয়েক আগে একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্ট জানিয়েছিল, ২০১৭-'১৮ অর্থবর্ষে ভারতে বেকারত্বের হার যে জায়গায় পৌঁছেছে, তা গত ৪৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি