'বিরোধ' তৈরি করেছিলেন! মমতাকে টার্গেট করে বিরোধ ভাঙলেন মুকুলই


চিরকালই বিতর্কের মধ্যেই থেকেছেন অর্জুন সিং। বাম আমলে ভাটপাড়া দখল থেকে তৃণমূলের শাসনে হেলায় বিরোধী শক্তিকে এলাকায় পরাস্ত করা, সবই হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, নিজের স্টাইলে চলতে ভালবাসা অর্জুনের সঙ্গে মূলত বিরোধ যুব সভাপতি তথা নৈহাটির বিধায়ক পার্থ  ভৌমিকের। দলের মধ্যে পার্থ ভৌমিক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগত।

সূত্রের খবর অনুযায়ী,পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে অর্জুন সিং-এর বিবাদ দীর্ঘদিনের। বলা ভাল অর্জুন সিং যাতে তাঁর এলাকা কাঁচড়াপাড়ায় ঢুকতে না পারেন সেই জন্য পার্থ ভৌমিককে নিজের এলাকায় তুলে এনেছিলেন মুকুল রায়। সেই থেকে মুকুল রায়ের সঙ্গে বিরোধী শুরু হয়ে যায় অর্জুন সিং-এরও। মুকুল রায় বিজেপি যোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাঁচড়াপাড়া-বীজপুর এলাকায় ঢুকতে শুরু করেছিলেন অর্জুন সিং।

একসময়ে দলীয় বিবাদের জেরে বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। গুলিতে অর্জুন সিং-এর বৌদি আহত হয়েছিলেন বলে জানা যায়।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিভিন্ন কারণে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও সাম্প্রতিক সময়ে বিরোধ তৈরি হয়েছিল অর্জুন সিং-এর। যা পছন্দ হয়নি তৃণমূল সুপ্রিমোর।

তৃণমূল নেত্রীর নীতিতেও ক্ষুব্ধ ছিলেন অর্জুন। তৃণমূল নেত্রী প্রায় সময়ই চেয়েছেন, উইনিং টিম বজায় থাকুক। সেই অনুযায়ী, দুবারের সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীকে টিকিট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। যা পছন্দ হয়নি অর্জুন সিং-এর। এছাড়াও দীনেশ ত্রিবেদীর সঙ্গে নিচুতলার যোগাযোগ নেই বলেও অভিযোগ তুলেছিলেন অর্জুন সিং।

কিন্তু সব কিছু ভেঙে যায় মুকুল রায় ইচ্ছায়। দিন কয়েক আগে মুকুল রায়কে গদ্দার বলে অভিহিত করেছিলেন অর্জুন সিং। সেই কথা রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হয়ে দাঁড়ায়নি।
কেননা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টাইট দিতে অর্জুন সিংকেই দরকার হয়ে পড়েছিল মুকুল রায়ের। আর দলের প্রার্থী তালিকায় ঠাই না পেয়ে অর্জুন সিং-এর দরকার ছিল মুকুল রায়কে।  ফলে একসময়ে খারাপ সম্পর্ক থাকা দুই নেতা হাত মেলালেন। যা রাজনীতির আঙিনাতেই সম্ভব।