লন্ডনে ৭৩ কোটি টাকার ফ্ল্যাটে থাকছেন নীরব মোদী

 
লন্ডন: দেশ ছেড়ে বিদেশে গা ঢাকা দিলেও বিলাসবহুল জীবনযাত্রায় কোনও ছেদ পড়েনি ব্যাংক জালিয়াতিতে অভিযুক্ত নীরব মোদীর৷ শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয় যেখানে 'ফেরার' নীরব মোদীকে লন্ডনের রাস্তায় স্বাচ্ছন্দ্যে হাঁটাচলা করতে দেখা যায়৷ তারপরেই পলাতক হীরে ব্যবসায়ীর বিলাসবহুল জীবনযাত্রার কিছু তথ্য সংবাদমাধ্যমের হাতে আসে৷ লন্ডনে নীরব মোদী তিন কামরার একটি ফ্ল্যাটে থাকছেন৷ যেটির দাম ভারতীয় মুদ্রায় ৭৩ কোটি টাকা৷ এছাড়া ভিডিও ফুটেজে নীরব মোদীকে যে জ্যাকেট পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে সেটির দাম ৮ লক্ষ টাকা৷

নীরব মোদীকে লন্ডনের রাস্তায় দেখতে পান সাংবাদিকরা৷ এরপর হীরে ব্যবসায়ীকে ধাওয়া করেন তারা৷ লন্ডনের একটি সংবাদপত্রে নীরব মোদীকে নিয়ে একটি খবর প্রকাশ করেছে৷ যেখানে বলা হয়েছে, বিদেশের মাটিতে তিনি হীরের ব্যবসা শুরু করেছেন৷ নতুন অফিসও খুলেছেন৷ তবে নীরব মোদীর এই ফুটেজটি ভারতের মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হন বিরোধীরা৷

সবার আগে প্রতিক্রিয়া দেয় কংগ্রেস৷ ট্যুইট করে কংগ্রেস লিখেছে, মোদী সরকার নীরব মোদীকে খুঁজে বের করতে পারল না৷ কিন্তু টেলিগ্রাফ পত্রিকার সাংবাদিক মোদীকে খুঁজে বের করেছে৷ কেন মোদী সরকার একজন পলাতক ও প্রতারক ব্যবসায়ীকে খুঁজে বের করতে পারল না? কাকে বাঁচাতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী? নিজেকে, নীরব মোদীকে নাকি যারা হীরে ব্যবসায়ীকে পালাতে সাহায্য করেছে তাদের?

সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি মোদী সরকারকে তোপ দেগে বলেন, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই৷ দেশের চৌকিদার তো আছেন চোরদের সাহায্য করার জন্য৷ এদিকে শুক্রবারই মহারাষ্ট্রের আলিবাগে নীরব মোদীর বিলাসবহুল বাংলো ডিনামাইট দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়৷ কারণ এটি একটি অবৈধ নির্মাণ। উপকূল এলাকার নিয়ম ভেঙেই তৈরি হয়েছিল সেই বাংলো। বাংলোর বিরুদ্ধে ২০০৯ সালেই বম্বে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।