অনেকটাই দাম কমল ক্যানসারের ওষুধের


ক্যানসারের জীবনদায়ী ওষুধের দাম কমল এক ধাক্কায় অনেকটাই।

দিন কয়েক আগের এই ঘোষণা কার্যকর হওয়ার পর থেকেই ওষুধের গায়ে লেখা এম আর পি (ম্যাক্সিমাম রিটেল প্রাইস) সর্বনিম্ন ৩ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাবে। কেন্দ্রীয় সরকারের রাসায়নিক এবং সার মন্ত্রকের অধীন দি ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (এনপিপিএ) সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের আট তারিখ থেকে ক্যানসারের বেশ কয়েকটি নন শিডিউল ওষুধের ক্ষেত্রে নতুন এই দাম কার্যকর হয়েছে।

বর্তমানে ক্যানসারের ৫৭টি শিডিউল ওষুধের দাম সরকার নিয়ন্ত্রণ করে। নতুন এই ঘোষণার মাধ্যমে ৪২টি নন শিডিউল ওষুধের ক্ষেত্রেও এই মূল্য নিয়ন্ত্রণ করা হল। কর্পোরেট হাসপাতাল এবং ওষুধের দোকানগুলিকে এখন থেকে বেঁধে দেওয়া মার্জিনে ওই সব ওষুধ বিক্রি করতে হবে। কিন্তু রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে ওষুধ কেনার প্রক্রিয়াটি দেখে স্বাস্থ্য ভবন। ফলে ক্যানসারের ওই ওষুধগুলির দামও নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনেই হবে।

চিকিৎসকদের মতে, ক্যানসার প্রতিরোধের চিকিৎসা মূলত দু'ধরনের হয়। প্রথম, কেমোথেরাপির মাধ্যমে আক্রান্ত কোষগুলিকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। অন্যটি আক্রান্ত জিনের আগ্রাসনকে থামিয়ে দিতে হয় বায়োলজিক্যাল থেরাপি। নতুন এই ঘোষণার ফলে কোলন এবং ফুসফুস ক্যানসারের জন্য বায়োলজিক্যাল থেরাপির ওষুধ বিভাসিজুমাব, লিম্ফোমা এবং ব্লাড ক্যানসারের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত রিটুক্সিম্যাব এবং ব্রেস্ট এবং ব্লাডার ক্যানসারের জন্য ব্যবহৃত কেমোথেরাপির ওষুধ লাইপোজোমাল ডক্সোরুবিসিনের ম্যাক্সিমাম রিটেল প্রাইস বা এম আর পি অন্তত ৫০ শতাংশ কমে গিয়েছে। এমনই ৪২টি নন শিডিউল ওষুধের উপরেই এর কম-বেশি প্রভাব পড়বে।

বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শঙ্খ রায়চৌধুরী বললেন, ''সর্বভারতীয় সংগঠন এবং আমরা দীর্ঘ দিন ধরেই দাবি করে আসছি যে ক্যানসারের ওষুধ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা কোনও মতেই চলবে না। লাভের অঙ্ক বেঁধে দিতে হবে এ কথা অনেক আগে বলেছিলাম। সেটাই হওয়ায় এ বার উপকৃত হবেন কয়েক লক্ষ ক্যানসার রোগী। তা না হলে কোনও ওষুধ বাজারে যেমন সর্বোচ্চ ২১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছিল, তেমন সেটিই আবার তিন হাজার টাকাতেও কিনছিলেন অনেক রোগী। এ সবের জেরে অসংখ্য ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছিল।''