চীন থেকে এল মেট্রোর রেক


 চীন থেকে নতুন রেক এল কলকাতায়। নোয়াপাড়া থেকে কবি সুভাষ স্টেশনের মাঝে চলবে এটি। ৩৬৪ টন ওজনের এই রেকটি জাহাজে রবিবার খিদিরপুর বন্দরে এসে পৌঁছেছে বলে মেট্রো সূত্রে জানা গেছে। আপাতত রেলপথে এই রেকটি নিয়ে যাওয়া হবে নোয়াপাড়ায়। যেখানে রেকের টুকরো টুকরো অংশগুলি জুড়ে তারপর চালিয়ে পরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষা সফল হওয়ার পর এরপর সেটি যাত্রীবহনের কাজে লাগানো হবে। এ বিষয়ে মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী ব্যানার্জি বলেন, '‌ঠিক কবে থেকে এই রেকটি চলবে তা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। চেষ্টা করা হচ্ছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটিকে যাত্রীবহনের কাজে লাগানোর।'‌ চীন থেকে মোট ১৪টি এই ধরনের রেক আসবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

 চীনা সংস্থা সিআরআরসি ডালিয়ান এই রেকটি তৈরি করেছে। রেকটি সম্পর্কে জানাতে গিয়ে মেট্রোর এক আধিকারিক বলেন, গোটা রেকটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। বর্তমানে যে রেকগুলি চলছে তার থেকে এই রেকে বিদ্যুৎ খরচও কম। রেক থামানোর সময় ব্রেক কষলে তার থেকে যে শক্তি উৎপাদন হবে তা ফের ব্যবহার করা যাবে। যে কারণে সুড়ঙ্গও কম গরম হবে। ৮ কোচ বিশিষ্ট এই রেকের প্রতিটি কামরায় ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা থাকবে। যে কারণে প্রতিটি মুহূর্তের ছবি‌ দেখতে পাবেন মোটরম্যান। কোচগুলিতে থাকছে '‌টকব্যাক'‌ বন্দোবস্ত। যার সাহায্যে প্রয়োজনে মোটরম্যানের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন যাত্রীরা। নতুন এই রেকের দরজা এবং ভেস্টিবিউল আগের রেকের তুলনায় একটু চওড়া বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। যার জন্য যাত্রীদের ওঠানামায় আরও সুবিধা হবে। বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের যাতে ওঠানামা করতে এবং রেকের ভেতর বসতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য এই রেকে আলাদা বন্দোবস্ত আছে বলে জানিয়েছেন তিনি। গত বছর ডিসেম্বর মাসে রবীন্দ্র সদন এবং ময়দান স্টেশনের মাঝে অগ্নিকাণ্ডে০র ফলে ধোঁয়ায় ভরে যায় সুড়ঙ্গ। এই ঘটনার জন্য  মেট্রো আধিকারিকরা থার্ড রেল কারেন্ট কালেক্টর (‌টিআরসিসি)‌–এর সমস্যাকে দায়ী করেন। সোমবার এ প্রসঙ্গে ওই আধিকারিক বলেন, '‌টিআরসিসি অন্য রেকে চাকার সঙ্গে থাকলেও এই রেকে এটি থাকছে বগির সঙ্গে। ফলে সমস্যাটা থাকছে না।'‌