কাশ্মীরে জামাত-ই-ইসলামির নগদ ৫২ কোটি বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্র


শ্রীনগর: জামাত-ই-ইসলামির উপর ফের কড়া পদক্ষেপ নিল ভারত সরকার। আগেই পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে জামাত-ই-ইসলামি সংগঠনের জম্মু ও কাশ্মীর শাখাকে। এবার শুরু হল তল্লাশি। এই সংগঠনের টাকাতেই হিজবুল মুজাহিদিন চালানো হয় বলে অনুমান গোয়েন্দাদের।

শনিবার সকালের মধ্যেই জামাত-ই-ইসলামির (কাশ্মীর) কার্যকলাপ চলত এমন ৭০টি জায়গা সিল করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এই সংগঠনের অন্তত ৫২ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়তে এবার জম্মু ও কাশ্মীরের বেশ কয়েকজন জামাত-ই-ইসলামি নেতাকে হেফাজতে নেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। বেআইনি কার্যকলাপ সংক্রান্ত আইনের আওতায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

কাশ্মীরের আর কোথায় কোথায় ওইসব নেতাদের সম্পত্তি আছে, সেগুলি চিহ্নিত করা হচ্ছে। এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকা একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভারত-পাক সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি হওয়ার পর থেকেই এই সংগঠনের উপর জোরদার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
 
গত বৃহস্পতিবার রাতের দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে এই বিষয়ে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়। সেখানেই উপত্যকার জামাত-ই-ইসলামি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার কথা জানানো হয়েছে। ঠিক কী কারণে এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে তার উল্লেখও করা হয়েছে রাজনাথ সিং-এর অধীনে থাকা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে।

যে সকল কারণে এই সংগঠনের বিরুদ্ধে এত বড় নির্দেশ কার্যকর করা হল তার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে সংগঠনের সদস্যদের অনৈতিক কাজকর্ম। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে জামাত-ই-ইসলামি নানাবিধ অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। যা দেশ এবং সমাজের পরিপন্থী।

একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে পেশ করা বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে যে বিভিন্ন সন্ত্রাসমূলক কাজকর্ম বা জঙ্গি বাদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগ ছিল এই সংগঠনের। সমগ্র জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যে অনেক হিংসাত্মক ঘটনার সঙ্গে এই সংগঠনের সদস্যরা জড়িত থাকে। কেউ কেউ প্রত্যক্ষভাবে থাকলেও অনেকে পরোক্ষভাবে হিংসায় মদত দেয়। এছাড়াও কাশ্মীরের বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলিকেও নিয়মত সাহায্য করে এই জামাত-ই-ইসলামি।