বিরাটের চওড়া ব্যাট ও ভারতীয় বোলিং ঝড়ে তছনছ অস্ট্রেলিয়া


ভারত: ২৫০ (কোহলি- ১১৬, বিজয়- ৪৬)
অস্ট্রেলিয়া: ২৪২ (খোয়াজা- ৩৮, হ্য়ান্ডসকম্ব- ৪৮)

৮ রানে জয়ী ভারত

নাগপুরের পিচে প্যাট কামিনস যেভাবে ঝড় তুলেছিলেন, তাতে মনে হচ্ছিল ভারতীয় দলের ভরাডুবি আজ নিশ্চিত। রোহিত শর্মা থেকে গত ম্যাচের সেরা কেদার যাদব, অজি বোলারদের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ছিলেন প্রত্যেকেই। কামিনস একাই তুলে নেন চারটি উইকেট। জোড়া উইকেট নেন জাম্পা। একের পর এক ব্যাটসম্যান যখন ব্যর্থ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন, তখন পায়ের নিচে মাটি শক্ত করলেন ভারত অধিনায়ক। সেঞ্চুরি হাঁকানোর আগে যাঁকে টলানো গেল না। তার তাতেই লড়াইয়ের রসদ পেল টিম ইন্ডিয়া। যদিও স্কোরবোর্ডে আড়াইশো রান নিয়ে প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ করা ছিল বেশ কঠিন। তবে সে মুশকিল আসান করে দিলেন কুলদীপ যাদব-বুমরাহরা।

আন্তর্জাতিক ওয়ানডে-তে চল্লিশতম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে এদিন নাগপুরে নয়া নজির গড়েন কোহলি। শচীন তেণ্ডুলকরের পর বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে এতগুলি শতরানের মালিক হলেন বিরাট। শুধু তাই নয়, অধিনায়ক হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির (১৮) রেকর্ডও এখন তাঁর ঝুলিতেই। যে তালিকার শীর্ষে রিকি পন্টিং (২২)। ভারতকে অল্প রানে গুটিয়ে দেওয়ায় বেশ আত্মবিশ্বাসই দেখাচ্ছিল অজিদের। কিন্তু তাঁদের শিবিরে শুরুতেই ধাক্কাটা দেন কুলদীপ (৩)। আর ৪৮ ওভারে চাপের মুখে বুমরাহ যে অনবদ্য় বোলিং করলেন, তাতেই ম্য়াচ চলে আসে ভারতের কোর্টে। সেই ওভারে মাত্র একরান দেন ভারতীয় পেসার। তবে এদিন ব্য়াটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়ের নজর কাড়লেন বিজয় শংকর। শেষ মুহূর্তে হাত সেট হয়ে যাওয়া স্টোইনিসের (৫২) উইকেটটি তুলে নিয়ে জয় একপ্রকার নিশ্চিত করে দেন বিজয়। তারপর জাম্পাকে প্য়াভিলিয়নে ফিরিয়ে দলকে জেতান তিনি। গত ম্যাচেও জয়ের কৃতিত্ব বোলারদেরই দিয়েছিলেন কোহলি। এদিনও যে বোলাররাই দলকে জেতালেন, এমনটা বললে একেবারেই বাড়িয়ে বলা হবে না।

পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ এগিয়ে গেল বিরাট অ্যান্ড কোং। বিশ্বকাপের আগে টিম ইন্ডিয়ার এমন ছন্দ নিঃসন্দেহে চিন্তায় রাখবে প্রতিপক্ষদের।