লোকসভা নির্বাচন ২০১৯: ডায়মন্ডহারবারে অভিষেকের বিরুদ্ধে প্রার্থী রোহন মিত্র?


লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ডহারবার আসনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে পারেন সোমেন পুত্র রোহন মিত্র। পাশাপাশি, পুরুলিয়া আসনটি ফরোয়ার্ড ব্লককে ছাড়তে রাজি নয় কংগ্রেস। পুরুলিয়ায় প্রার্থী করা হতে পারে নেপাল মাহাতকে। উত্তর কলকাতায় সাদাব খানকে প্রার্থী করতে পারে কংগ্রেস। প্রার্থী করার বিষয়ে কথা চলছে আমজাদ আলিকে নিয়েও। জোট প্রসঙ্গে আসন ভাগাভাগির ফর্মুলা নিয়ে আজ দিল্লি ও কলকাতা, দু জায়গাতেই বৈঠক বসছে কংগ্রেস। আসন ফর্মুলা স্থির হলে তারপরই চূড়ান্ত হবে নাম।

প্রসঙ্গত, রাহুল গান্ধীর হস্তক্ষেপে রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসন দুটি বামেদের ছাড়তে রাজি হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক গৌরব গগৈ শনিবার জানিয়ে দেন, রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসনে প্রার্থী দিচ্ছে না কংগ্রেস। কেউ-ই কারোর জেতা আসনে প্রার্থী দেবে না। আর এতেই দিন কয়েক ধরে চলতে থাকা টানাপোড়েনের পর জট কেটে জোটের পথ প্রশস্ত হয়।

রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসন দুটি কোনওমতেই ছাড়া হবে না বলে অনড় ছিল সিপিএম। অন্যদিকে, এই দুটি আসনের দাবিতে নাছোড় ছিল কংগ্রেসও। এরপর শুক্রবার কংগ্রেসের আবদার উড়িয়ে রায়গঞ্জ, মুর্শিদাবাদে একতরফা প্রার্থী ঘোষণা করে দেয় আলিমুদ্দিন। তবে কংগ্রেসের জেতা জেতা চারটি ছেড়ে জোটের পথ খোলা রাখে সিপিএম। কিন্তু তাতে ক্ষুব্ধ হন সোমেন মিত্র। জোট নিয়ে তৈরি হয় দোলাচল। এরপরই শনিবার জোট সংকট কাটাতে আসরে নামেন সীতারাম ইয়েচুরি ও রাহুল গান্ধী।

তবে রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসন ছেড়ে দিলেও জোট নিয়ে কিছু শর্ত রেখেছে কংগ্রেস। জেলাভিত্তিক আসন সমঝোতার কথা বলেছে কংগ্রেস। প্রত্যেক জেলার রাজনৈতিক সমীকরণের কথা মাথায় রেখে আলাদা আলাদা ভাবে আসন বাঁটোয়ারার অঙ্ক কষার কথা বলেছে হাত শিবির। তাদের দাবি, সব জেলায় প্রার্থী না দিলে দলীয় কর্মীদের মনোবল ভেঙে যাবে। পাশাপাশি, রায়গঞ্জ-মুর্শিদাবাদ ছাড়ার বদলে পুরুলিয়া আসটির দাবি করেছে কংগ্রেস।

সূত্রের খবর, সব ঠিকঠাক হলে ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৭টিতে লড়বে কংগ্রেস। বাম ও সহযোগী দলগুলি লড়বে বাকি ২৫টি আসনে। এখন উভয়পক্ষের জেতা মোট ৬টি আসন নিয়ে রফাসূত্র মিলেছে। এবার বাকি ৩৬টি আসন কীভাবে ভাগ-বাঁটোয়ারা হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। আজ বিকেল সাড়ে ৩টেয় দিল্লিতে বৈঠক। সূত্রের খবর, এদিনই চূড়ান্ত হতে পারে আসন ভাগাভাগির ফর্মুলা।